কোচিং সেন্টার নীতিমালা : রুলের ওপর রায় ৭ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২০ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

কোচিং সেন্টারের নীতিমালা নিয়ে দায়ের করা রিটের রুলের ওপর রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালাসহ শিক্ষকদের নিয়ে করা পৃথক কয়েকটি রিটের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচরপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।

আদালতে আজ দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। এক রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। অ্যামিকাস কিউরি ছিলেন ফিদা এম কামাল।

কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না-সেজন্য কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ওই নোটিশ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ বিষয়ে শিক্ষকেরা হাইকোর্টে রিট করেন। রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, কোচিং বাণিজ্য নিয়ে আজকে রায় প্রদানের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ মামলায় দুজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) ছিলেন, একজন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ, উনি উনার বক্তব্য আগেই শেষ করেছেন। আজকে আরেকজন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল তার বক্তব্য দিয়েছেন। উনি খুব বিশদভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কোচিং বাণিজ্য হলে কী কী হতে পারে, না হতে পারে সেসব বিষয়ে।

‘আ-দৌ এটা অ্যালাউ করা ঠিক কিনা তা জানাতে উনি আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি লিখিত আর্গুমেন্ট (ব্যাখ্যা) দেবেন। আদালত উনার কথা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে শুনেছেন এবং আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রায় প্রদানের জন্য দিন ধার্য করেছেন। আগামী রোববারের মধ্যে ফিদা এম কামালকে উনার লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলেছেন আদালত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আদালত ব্যাখ্যা চেয়ে বলেছেন, কোনো একজন শিক্ষার্থী যদি ডাক্তার হতে চায় বা তার পরিবার চাচ্ছে সে ডাক্তার হোক এবং সে যদি কোচিং না করে, তাহলে সে কীভাবে এটা করতে পারে? এটাকে বাণিজ্য হিসেবে কেন আমরা ট্রিট করছি? আদালত আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন যে, নীতিমালার আওতায় মূল আইন না থাকা সত্ত্বেও নীতিমালার দিয়ে তো কাউকে আপনি শাস্তি দিতে পারবেন না। আইন থাকতে হবে। কিন্তু এখানে তো আইন নেই, নীতিমালা আছে। এটা আইন কতটা পারমিট করে? এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত।’

‘আদালতের মোদ্দা কথা, আমি যেটা বুঝতে পেরেছি, সেটা হলো, একটা সুনির্দিষ্ট আইন থাকতে হবে। আইন না রেখে শুধু নীতিমালাকে নিয়ে এ ধরনের পিউনেটিভ অ্যাকশন (শাস্তিমূলক ব্যবস্থা) কতটুকু নেয়া যাবে-এর সাংবিধানিক একটা ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত’-যোগ করেন দুদকের আইনজীবী।

এফএইচ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।