ঢাকার খাস জমি উদ্ধারে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
ঢাকার প্রায় ২৮শ’ একর খাস জমি উদ্ধারে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ স্বাক্ষর করার পর রায়টি প্রকাশ করা হয়। রায়ে আদালত বলেছেন, সরকারের নামে থাকা ২৮শ’ একর জমি উদ্বার করা ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাংবিধানিক দায়িত্ব।
সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে ঢাকা মহানগরে ভূমি জরিপ করা হয়। সেসময় জেলা প্রশাসকের এক নম্বর খতিয়ানভুক্ত প্রায় ২৮শ’ একর খাস জমি বিভিন্ন ব্যক্তির নামে রেকর্ডভুক্ত করেন জরিপ কাজে নিয়োজিত সেটেলমেন কর্মকর্তারা। এসব জমির বেশিরভাগই খাল ও নদী। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ২০১১ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়। সেই চিঠি চ্যালেঞ্জ করে এসিস্টেন্ট সেটেলমেন অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মো. জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের পর চিঠির কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে সাত কার্যদিবস রুল শুনানি হয়।
শুনানি শেষে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।
আজ সোমবার প্রকাশিত রায়ে আদালত বলেন, সরকারের নামে থাকা প্রায় ২৮শ’ একর জমি উদ্বার করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে।
পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, সরকারের অবশ্যই ওই জমি উদ্বারে প্রেস সার্ভে (নতুন জরিপ) করার আইনগত অধিকার রয়েছে।
অপর এক আদেশে পূর্ণ দায়-দায়িত্ব ঠিক হবার আগ পর্যন্ত কারোর বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা না করার জন্য মতামত দেন আদালত।
আদালতে আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান।
মনজিল মোরশেদ বলেন, জরিপের সময় কিছু অসাধু কর্মকর্তা ঢাকার প্রায় ২৮শ’ একর খাস জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করেন, যার মাধ্যমে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। আদালতের রায় প্রকাশের পর নতুন জরিপের মাধ্যমে ওই জমি সরকারের নামে রেকর্ডভুক্ত করতে আর কোনো বাধা থাকছে না।
এফএইচ/জেডএ/এমএস