নৌ অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর জামিন বাতিল
ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ দুদকের ফাঁদে ধরা পড়ার মামলায় নৌ অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও সার্ভেয়ার ড. এস এম নাজমুল হকের জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুন্নেছা রত্না। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ মো. মোর্শেদ।
২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট মেট্রো সিনিয়র স্পেশাল জজ ৫০ হাজার টাকার বন্ডে তাকে জামিন দেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ১৬ অক্টোবর রিভিশন আবেদন করলে হাইকোর্ট ২২ অক্টোবর রুল জারি করেন। আজ ওই রিভিশনের ওপর জারি করা রুলের শুনানি শেষে রায় দেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইসেন্সের মালিক জালাল উদ্দিন নৌ অধিদফতরে জমা দেয়া অভ্যন্তরীণ নৌ- চলাচল অধ্যাদেশ (ISO 1976) এর ৫(ক) অনুযায়ী নকশা জমা হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ অনুমোদন দিতে হবে।
কিন্তু নৌ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ও সার্ভেয়ার ড. এস এম নাজমুল হক উক্ত নৌ যানের নকশা অনুমোদনের জন্য এবং নতুন নৌ যানের নামকরণের অনাপত্তি দিতে মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইন কর্তৃপক্ষের কাছে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
শিপিং লাইন কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে দাবি করা ১৫ লাখ টাকার মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম দেন। বাকি টাকার জন্য চাপাচাপি করলে মালিক পক্ষ বিষয়টি দুদককে জানায়। দুদক ফাঁদ তৈরি করে ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ ১২ এপ্রিল হাতেনাতে তাকে গ্রেফতার করে। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ শাহবাগ থানার মামলা করেন।
এফএইচ/এএইচ/এমএস