আপিলের রায়েও পেনশন সুবিধা পাবেন বুয়েটের ১৯ শিক্ষক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক তিন উপাচার্যসহ অবসরপ্রাপ্ত ১৯ শিক্ষককে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) ও পেনশন সুবিধা দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। অর্থাৎ তারা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী পিআরএল ও পেনশন সুবিধা পাবেন।
আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও বুয়েট কর্তৃপক্ষের রিভিউ আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রায় অনুযায়ী ৭ জন শুধু পেনশন সুবিধা এবং ১২ জন পিআরএল ও পেনশন সুবিধা পাবেন।
আদালতে আজ শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল এবং তবারক হোসাইন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার উর্মি রহমান। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইজীবী এ এফ হাসান আরিফ।
বিভিন্ন সময়ে অবসরে যাওয়া বুয়েটের ১৯ শিক্ষক পিআরএল ও পেনশন সুবিধার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় হাইকোর্টে পৃথক তিনটি রিট আবেদন করেন। ওই রিট আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের প্রাপ্য পিআরএল ও পেনশন সুবিধা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে করা পৃথক পৃথক লিভ টু আপিল আবেদন করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এসব আবেদনের ওপর শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
ব্যারিস্টার উর্মি রহমান বলেন, রিট আবেদনকারীদের মধ্যে সাবেক দুই উপাচার্য ড. মো. মনোয়ারুল ইসলাম ও প্রফেসর সাহেদা রহমান এবং অপর ৫ শিক্ষক ড. মো. মোহর আলী, ড. মোস্তফা কামাল চৌধুরী, ড. মো. কামরুল ইসলাম, ড. এম এম শাহিদুল হাসান ও ড. মো. কামরুল আহসান কেবল পেনশন সুবিধা পাবেন।
এছাড়া সাবেক উপাচার্য ড. মো. মাজহারুল হক এবং ১১ শিক্ষক ড. মো. মীরজাহান মিয়া, ড. আমিনুল হক, ড. মো. ইমতিয়াজ হোসেন, ড. সারওয়ার জাহান, ড. শহিদুল ইসলাম খান, ড. মো. ওবায়েদ উল্লাহ, ড. মো. জয়নুল আবেদিন, ড. মো. আব্দুর রউফ, ড. মো. রিফায়েত উল্লাহ, ড. নিলুফার ফরহাত হোসাইন ও ড. নজরুল ইসলাম পিআরএল ও পেনশন সুবিধা পাবেন।
এফএইচ/আরএস/জেআইএম