বাপ-বেটার রিট খারিজ, প্রার্থী শূন্য বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৭ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্যদিকে, বাপের (বাবার) বদলে তার বেটাকে (ছেলে) ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার আবেদনও খারিজ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত রিট করেছিলেন হাইকোর্ট। রিট খারিজের ফলে, নৌকার প্রার্থীর ভোট করতে আর কোনো বাধা রইল না।

অন্যদিকে, বাবা রশিদুজ্জামান মিল্লাতের বদলে তার ছেলেকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার জন্য ব্যারিস্টার শাহাদাত বিন জামানের রিট আবেদনও খারিজ করেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত পৃথক পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ আবুল কালাম আজাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম। রশিদুজ্জামান মিল্লাতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্যদিকে, শাহাদাত বিন জামানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

পরে দুদুকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সংসদ সদস্য পদে থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ নির্বাচন করতে পারেন না মর্মে তারা রিট করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটা লাভজনক পদ। কিন্তু আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, এমপি পদ লাভজনক নয়। এছাড়া আবুল কালাম আজাদের মনোনয়ন বৈধ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনে কোনো আপিল করেননি রিটকারী পক্ষ।

এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ওই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রশিদুজ্জামান মিল্লাতের মনোনয়নপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদনের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। ফলে তিনি আর নির্বাচন করতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, বাবা রশিদুজ্জামান মিল্লাতের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর ধানের শীষ প্রতীক চেয়ে ছেলে মো. শাহাদাত বিন জামান রিট করেছিল। আমরা বলেছি প্রার্থী ফাইনালাইজ হওয়ার পরে কিংবা রিটার্নিং অফিসার গেজেট জারি করার পরে এটার কোনো সুযোগ নেই।

এছাড়া, তারা এর জন্য নির্বাচন কমিশন কিংবা রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করেননি। আদালত দুটি রিটই খারিজ করে দিয়েছেন বলে জানান খুরশীদ আলম খান।

হাইকোর্টের আদেশের পর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, রশিদুজ্জামান মিল্লাত দণ্ডিত। এ কারণে রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়ন বাতিল করেছিল। কিন্তু তিনি নির্বাচন কমিশেন আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, জামালপুর-১ আসনে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, তার ছেলেসহ তিনজনকে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। পরে মিল্লাতকে ফাইনাল চিঠি দেয়া হয়েছিল। এখন ওই আসনে বিএনপির কোন প্রার্থী রইল না।

এফএইচ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।