অর্থ আত্মসাৎ : চিশতীর ছেলের জামিন নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৪ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮

অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় করা মামলায় ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়া তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এদিন রাশেদুল হক চিশতীকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। গুলশানের অর্থ আত্মসাত ও পাচারের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার দেখায় আদালত। এরপর তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

গত ১০ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাবুল চিশতীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। চিশতী ছাড়া গ্রেফতার অন্যরা হলেন- চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকের এসভিপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খান। রাজধানীর গুলশান থানায় দুদকের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।

গ্রেফতারের পর ওইদিন বাবুল চিশতির ৫ দিন ও ১৯ এপ্রিল দু’দিন মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ২৬ এপ্রিল বাবুল চিশতিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।

এর আগে ফারমার্স ব্যাংকের জালিয়াতির ঘটনায় দুদক মাহবুবুল হক চিশতী এবং তার পরিবারের পাঁচ সদস্য, ব্যাংকের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে গত সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ওই তালিকায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নাম নেই।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির গ্রাহকের ঋণের ভাগ নিয়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতী। এর মাধ্যমে দু’জনের নৈতিক স্থলন ঘটেছে এবং তারা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।

২০১২ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেয়া ফারমার্স ব্যাংকের কার্যক্রম শুরুর পরই অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন কর্মকর্তারা। আস্থা সঙ্কট তৈরি হলে আমানতকারীদের অর্থ তোলার চাপ বাড়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী। পরিচালকের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তারা।

জেএ/এনডিএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।