কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মার্কেট নির্মাণে স্থিতাবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২০ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮

কক্সবাজরের সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা ও ইনানী বিচ এলাকায় (রাত্রীকালীন বাজার) মার্কেট স্থাপন ও বিভিন্ন নির্মাণ কাজের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন একটি দ্বৈত বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন। আদেশের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৭৫ অনুযায়ী পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা চিহ্নিত করে এই আদেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

একই সঙ্গে, কক্সবাজারের বিচ ম্যানেজমেন্টের নির্দেশনা অনুসারে সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

সাঈদ আহমেদ কবীর জানান, জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম মন্ত্রণালয় সচিব, কক্সবাজারের বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আলী মোস্তফা খান।

আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর জানান, গত ১৩ জুন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এক সভায় কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি ইনানী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্টে রাত্রিকালীন বাজার ও মার্কেট নির্মাণ এবং ইনানী পয়েন্টে ১৪৫টি দোকান নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে কক্সবাজারের সংকটাপন্ন এলাকাগুলো সংরক্ষণের বিষয়ে বলা আছে। এর ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের ইনানী ও সুগন্ধা সমুদ্র সৈকতে কোনো স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা) হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ রুলসহ এ আদেশ দিয়েছেন।

এফএইচ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।