‘নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না খালেদা’
বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনের অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আদালত। তবে আপিল বিভাগে দণ্ড স্থগিত এবং জামিন হলেই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এই আদেশের ফলে সংবিধান অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়াও নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন, আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে- সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে তাকে জামিন দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়া আসন্ন জায়তীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
দুর্নীতির অভিযোগে প্রাপ্ত সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানসহ পাঁচ নেতার দণ্ড স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করার পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান খুরশীদ আলম।
দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে পারবেন কিনা এবং ক্ষমতায় যেতে পারিবেন কিনা, আদালত এসব বাতিল করেছে। এ ছাড়া বলেছে- দুর্নীতি এমন একটা ব্যাপার এটা আমাদের সকলের সজাগ থাকা উচিত। কাজেই এ ধরনের একটা অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন করা সেটা সংবিধানের পরিপন্থী।’
মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে দুই বছরের বেশি সাজা হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতির দায়ে বিচারকি আদালতের দেয়া দণ্ড ও সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) স্থগিত চেয়ে আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার করা আবেদন খারিজের রায়ে এই সিদ্ধান্ত দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
বিএনপি নেতা আমান উলাহ আমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়া, মো. মশিউর রহমান ও মো. আব্দুল ওহাবের পক্ষে দণ্ড ও সাজা বাতিলের ওই আবেদন করা হয়েছিল।
এফএইচ/এমবিআর/পিআর