বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলা : খালেদার দুই আবেদনের শুনানি আজ
নিম্ন আদালত থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার নথি তলব এবং ২০০৮ সালে দুদকের দেয়া অব্যাহতিপত্র তলব করতে হাইকোর্টে পৃথক দুটি আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীর করা আবেদনের শুনানি বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে আজ।
মঙ্গলবার আবেদন দু’টি করেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন। একই আদালতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা বাতিল বিষয়ে প্রায় সাত বছর আগে জারি করা রুলের উপর শুনানি চলছে। তার আগে খালেদা জিয়া মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ২০০৮ সালে।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলায় একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে মামলাটি বাতিল চেয়ে ওই বছরই হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সে বছরের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এই রুলের উপর বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি চলছে। এ অবস্থায় মামলার নথি তলব চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অপর আসামিরা হলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মরহুম), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মরহুম), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম (মরহুম), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
এফএইচ/বিএ