সাজা স্থগিত চেয়েছেন বিএনপির সাবেক দুই এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩২ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৮

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগে বিচারিক আালতের দেয়া সাজার কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপির সাবেক দুই সংসদ সদস্য (এমপি) । এ বিষয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।

বিএনপি দুই নেতা হলেন- খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়া এবং ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক এমপি মো. আব্দুল ওহাব।

আবেদন করার পর দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা নিষ্পিত্তি করার জন্য নির্ধারিত বেঞ্চে আবেদন দুটির বিষয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর শুনানির জন্য ধার্য করে আদেশ দেয়া হয়।

পৃথক দুটি আবেদনের শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

আবেদনকারী ওয়াদুদ ভূঁইয়ার পক্ষে আবেদন জমা দেন আইনজীবী একেএম ফখরুল ইসলাম ও মো. আবদুল ওহাবের পক্ষে আবেদন জমা দেন আইনজীবী মো. ওয়াজেদ আলী। এ সময় দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হাইকোর্টে করা আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সাজা স্থগিত হওয়া আবশ্যক। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, তথ্য গোপন ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৬ কোটি ৩৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৪ টাকার সম্পদ অর্জন করায় ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মোট ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন। তিনি এ বিষয়ে হাইকোর্টে আপিল করে ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল জামিন পান।

এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯৩ লাখ ৩৬৯ টাকার সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে মো. আবদুল ওহাবকে যশোরের স্পেশাল জজ ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তিনি এ বিষয়ে আপিল করেন এবং গত বছরের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন।

এফএইচ/এনডিএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।