জরিমানা শোধ করলেন জনকণ্ঠের সম্পাদক-নির্বাহী সম্পাদক


প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৫

সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের করা জরিমানার টাকা পৃথক দুটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দান করেছেন জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।
 
মঙ্গলবার পৃথক দুটি আবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রারকে অবহিত করেছেন তারা। এই আবেদনের সঙ্গে দুই দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অনুদান রশিদের অনুলিপিও সংযুক্ত করা হয়েছে।
 
জনকণ্ঠের সম্পাদকের করা আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিমকোর্র্টের আদেশের পর গত সোমবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে তিনি ওই টাকা জমা দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মুক্তিযোদ্ধদের নিয়ে কাজ করে।

নির্বাহী সম্পাদকের করা আবেদনে বলা হয়, একই দিন তিনি টাকা জমা দিয়েছেন বীরাঙ্গনাদের নিয়ে কাজ করা দাতব্য প্রতিষ্ঠান মুনতাসীর মামুন-ফাতেমা ট্রাস্টে।
 
মঙ্গলবার বিকেলে জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের আবেদন দুটি সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবরে হাতে জমা দেয়া হয়েছে। এছাড়া রেজিস্ট্রি ডাক যোগে এই আবেদন দুটি পাঠানো হয়।
 
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা/পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করা হয় জনকণ্ঠে। নিবন্ধটি লেখেন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।

ওই নিবন্ধে সাকা চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এর পর গত ২৯ জুলাই সাকা চৌধুরীর চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর পরই জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে তাদের তলব করেন। একই সঙ্গে রুলও জারি করেন আদালত।
 
আদালতের নির্দেশ অনুয়ায়ী ৩ আগস্ট জনকণ্ঠের সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ (এম এ খান মাসুদ) এবং প্রবন্ধের লেখক নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় আদালতে উপস্থিত হন এবং এ মামলায় তারা কনটেস্ট করবেন জানিয়ে তিন মাসের সময় চান। পরে আদালত এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের জবাব দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
 
পরবর্তীতে গত ৯ ও ১০ আগস্ট শুনানি শেষে ১৩ আগস্ট আদেশ দেন সুপ্রীমকোর্ট। আদেশে জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদককে ওই দিনের আদালতের কার্যক্রম চলাকালীন সময় পর্যন্ত এজলাসে বসে থাকতে বলা হয়।

এছাড়া আদেশে দুই জনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে বলা হয়।

এফএইচ/এসকেডি/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।