বুধবারের কার্য তালিকায় নিজামীর আপিল


প্রকাশিত: ০১:২৩ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৫

একাত্তরের মানবতাবিরেধী অপরধের দায়ে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা আপিলের শুনানি বুধবারের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল  বিভাগের বেঞ্চে বুধবার মামলাটির আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বুধবারের কার্য তালিকায় মতিউর রহমান নিজামী বনাম প্রধান প্রসিকিউটর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি আপিল ৫ নম্বরে আছে।

এর আগে নিজামীর করা আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার জন্য রাষ্ট্র এবং আসামি উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত। মামলার সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী আপিল শানানি শুরু হওয়ার কথা।

এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর  নিজামীর দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন আপিল করেন। একই বছর ২৯ অক্টোবর  ট্রাইব্যুনাল-১ নিজামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।  
 
আপিলের পর নিজামীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ১২১ পৃষ্ঠায় মূল আপিল আবেদনের সঙ্গে ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার নথিপত্র দাখিল করা হয়েছে। মূল আপিলে ১৬৮ টি গ্রাউন্ড পেশ করে দণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে।

তবে রাষ্ট্রপক্ষ কোন আপিল করেন নি। আপিল না করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ট্রাইব্যুনাল নিজামীর সর্বোচ্চ সাজার যে রায় দিয়েছেন, তাতে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। আসামির আপিলের শুনানিতে অংশ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে দেয়া দণ্ড যাতে বহাল থাকে তার আর্জি পেশ করবো।

ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, নিজামীর বিরুদ্ধে আনা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৮ ও ১৬ নম্বরসহ মোট  ৮টি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১, ৩,৭ ও ৮ নম্বর অভিযোগে  যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।  এছাড়া ৫, ৯, ১০ থেকে ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এসব অভিযোগে তাকে অব্যাহতি (খালাস) দেয়া হয়।

অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১২ সালের ২৮ মে তার বিচার শুরু হয়। ২০১৩ সালে নিজামীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যাপক, সাংবাদিক ও ইতিহাসবিদসহ মোট ২৬ সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। অপরদিকে তার পক্ষে চার জন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
 
ধর্মীয় অনুভূতির আঘাতের এক মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়। একই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায গ্রেফতার দেখানো হয়। তারপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এফএইচ/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।