প্রাণ-আরএফএল’র সংবাদ প্রকাশে যমুনা-যুগান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা
যমুনা টিভি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকাকে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর কোনো সংবাদ প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম আদালতের এ নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রোববার এ-সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি শেষে অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ দেন বিচারপতি মামনুন রহমান ও আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আজ প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শফিকুল কবির খান এবং তানজিম আল ইসলাম।
পরে তানজিম আল ইসলাম বলেন, এর আগে ১ হাজার কোটি টাকা করে দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগের ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ-১ এ এ মামলা দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে মামলায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর খবর প্রচার এবং প্রকাশ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। কিন্তু আদালত খবর প্রচার ও প্রকাশের আবেদনটি নামঞ্জুর করলে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করা হয়।
সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিরুদ্ধে দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনকে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিভিন্ন পণ্যের বিরুদ্ধে দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রচার করে আসছিল। কিন্তু এসব সংবাদের প্রতিবাদ পাঠালে তা না ছাপানোয় প্রাণ-আরএফএল বিচারিক আদালতে মামলা করে।
মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে যমুনা টিভি ও দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে এর আগে আরও তিনটি মামলা হয় ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে। ২০১৪ সালে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি, ২০১৫ সালে গ্রামীণফোন এবং ২০১৬ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বাদী হয়ে মামলা তিনটি করে। মামলা তিনটি বর্তমানে বিচারাধীন।
এফএইচ/এনএফ/এমএস