বিচার বিভাগের কলঙ্কের জন্য সিনহাই দায়ী : খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৯ এএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, সরকার বা কোনো এজেন্সি নয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা নিজেই বিচার বিভাগকে কলুষিত করেছেন। বিচার বিভাগের কলঙ্কের জন্য তিনি নিজেই দায়ী। তিনি বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে দেশইনফোডটকমডটবিডি আয়োজিত ‘বিচারপতি এস কে সিনহার স্বপ্নভঙ্গ: বিচার বিভাগের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, বিচারপতি সিনহা বিচার বিভাগ নিয়ে যে বইটি লিখেছেন, তাতে তার নামকরণ সঠিক হয়েছে। কারণ তার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। তিনি জুডিশিয়াল ক্যু করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। তিনি নিজেই এর জন্য দায়ী। তিনি ইচ্ছে করেই বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে, একটি গোষ্ঠীকে উসকে দেয়ার জন্য তিনি নিজেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বপ্নভঙ্গের বইটি লিখেছেন।

তিনি বলেন, একটি ঘটনায় একবারই বিচার হবে। কিন্তু একই ঘটনায় বিভিন্নভাবে, একাধিক সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির মাধ্যমে একাধিক অভিযোগ বা মামলা হতে পারে। কিন্তু সবগুলো অভিযোগ বা মামলা একত্র করে একবারই বিচার হবে। তাই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন আইনমন্ত্রীকে যা বলেছেন তা সঠিক নয়। মইনুল যদি তার এতই প্রিয় হয়ে থাকেন, তাহলে ড. কামাল হোসেন তো তার পক্ষ থেকে নারীদের কাছে ক্ষমা চাইতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।

কামরুল ইসলাম আরও বলেন, সিনহার মতো বিচারপতি যাতে আর নিয়োগ না হয় সে জন্য উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের আইনটি হওয়া উচিত। তাহলে এ রকম বিচারকের নিয়োগ থেকে আমরা রেহাই পাবো।

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, আমার দৃষ্টি বিচারপতি এস কে সিনহা একজন ব্যক্তি। তিনি খুব বড় কেউ নন। তিনি দেশের বাইরে চলে গেলেন, কথা বললেন এতে দেশে কী ক্ষতি হলো, বিচার বিভাগের কী ক্ষতি হলো তা দেখতে হবে। বিচার বিভাগে প্রলয় ঘটে গেছে। এই ক্ষত সারতে হবে।

এফএইচ/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।