বাবুল চিশতীর ছেলের জামিন আবেদন খারিজ
ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতর (বাবুল চিশতী) ছেলে মো. রাশেদুল হক চিশতীর বিরুদ্ধে আনা অর্থপাচার মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
ফারমার্স ব্যাংকের অর্থপাচার মামলায় জামিন আবেদনের ওপর আসামি ও রাষ্ট্র পক্ষের শুনানি শেষে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে. এম. হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহারিন, এ. কে. এম. আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আসামি পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান।
গত ১৬ অক্টোবর জামিন আবেদনে আসামি পক্ষের শুনানি শেষে দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য শুনানি এবং আদেশের জন্য আজকের (২১ অক্টোবর) ঠিক করেন আদালত। শুনানি শেষে আসামির জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ. কে. এম. আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী। এছাড়া তার ছেলে মো. রাশেদুল হক চিশতীর নামে তিনটি মেয়াদি আমানত হিসাব পরিচালিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে, যাতে মোট জমা ছিল ৫৫ লাখ টাকা। ওই তিনটি হিসাবই জমার মাধ্যমে খোলা হয়।
অতঃপর ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারিতে তিনটি এফডিআরই মেয়াদপূর্তির পূর্বেই নগদায়ন করেও রাশেদুল হক চিশতীর অনুকূলে পে-অর্ডার করা হয়। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম গত ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই দিনই তাকে গ্রেফতার করা হয় ।
এরপর তারা বিচারকি আদালতে জামিন আবেদন করেন। পরে গত ৭ অক্টোবর ঢাকা মেট্রো সিনিয়র স্পেশাল জজ কে. এম. ইমরুল কায়েস জামিন নামঞ্জুর করলে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। আজ এই আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এফএইচ/এসএইচএস/জেআইএম