জাফরুল্লাহর আগাম জামিন
আশুলিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও জমি দখলের পৃথক দুই মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশ অভিযোগপত্র না দেয়া পর্যন্ত এ জামিন মঞ্জুর করা হলো।
রোববার (২১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন।
গত ১৫ অক্টোবর রাতে আশুলিয়া থানায় জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের মোহাম্মদ আলী ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আনিছুর রহমান। মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন-গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দেলোয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির (৫৫) ও নূর মোহাম্মদের ছেলে আওলাদ হোসেন (৪৮)।
মামলার এজহারে বলা হয়, আশুলিয়ার পাথালিয়া মৌজায় ৪.২৪ একর জমির মালিক মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান ও তাজুল ইসলাম। আসামিরা দীর্ঘদিন এ জমি দখলের চেষ্টা করছে। ১৪ অক্টোবর আসামিরা ওই জমিতে হাজির হয়ে বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে এ জমি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে হস্তান্তর করতে হবে অথবা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে এক কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে। বাদীরা এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা ভাঙচুর করেন।
এরপর ১৯ অক্টোবর চাঁদা দাবি, ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ এনে আশুলিয়া থানায় আরও একটি মামলা করা হয় জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে। আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার হাসান ঈমাম বাদী হয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার মালিকানাধীন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশের একটি জমি দীর্ঘ দিন ধরে জবরদখলের চেষ্টার পাশাপাশি জমির মালিকের কাছে কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আরও তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
এফএইচ/এনডিএস/পিআর