শহিদুল আলমের ‘অনুপ্রবেশের’ শাস্তি কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে ভারত থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় কুড়িগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ থেকে শাস্তি দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
শহিদুল আলমের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
রিট আবেদনে বলা হয়, ছবি তুলতে গিলে কুড়িগ্রাম সীমান্ত থেকে ২০০৯ সালের ১৬ জুন ভারতীয় বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে যায়। এ নিয়ে পতাকা বৈঠকের পর তাকে বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু সে সময় কুড়িগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করা হয় (জিআর মামলা নম্বর ২০/২০০৯)।
আবেদনে আরও বলা হয়, মামলায় তাকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে শাস্তি হিসেবে জরিমানা করা হয়, যা অবৈধ। কারণ তিনি বাংলাদেশি। নিজ দেশে কখনই অনুপ্রবেশ হতে পারে না।
গত ৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে ড. শহিদুল আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে পুলিশ এবং গ্রেফতার দেখানো হয়।
মামলায় ৬ আগস্ট তাকে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন।
এফএইচ/আরএস/জেআইএম