মৎস্য ভবনের সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা সুপ্রিম কোর্টের উত্তর কোণ ও মৎস্য ভবনেরর সামনের রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থে জনগণের জন্য কেন আন্ডারপাস বা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করার নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রধান প্রকৌশলী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে, এ সংক্রান্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করর্পোরেশনের প্রতি আইনজীবী সমিতির পাঠানো চিঠি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন আদালত।

হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এমএম কাশেম। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এহছান উল কাইউম।

bridge

আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমএম কাশেম আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্ট ও মৎস্য ভবন এলাকায় আন্ডারপাস বা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশের সঙ্গে ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাছে একটি চিঠি সংযুক্ত করা হয়। ওই চিঠিতে মৎস্য ভবন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সামনে ও সুপ্রিম কোর্টের উত্তর কোণে রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থে আন্ডারপাস বা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। আন্ডারপাস বা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষটদের প্রতি পাঠানো নোটিশের জবাব না দেয়ায় আমরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলাম। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে পাঠানা চিঠি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেন।

এই আইনজীবী বলেন, রাজধানীর ব্যস্ততম এই এলাকায় তিনটি রাস্তার সংযোগ রয়েছে। সারাদিন হাজার হাজার লোক জীবনের ঝুকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হয়। এতে সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে। তাই জনস্বার্থে একটি আন্ডারপাস বা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করছি।

এফএইচ/এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।