প্রাণ-আরএফএল’র মামলায় যমুনা টিভি-যুগান্তরকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার কেন বন্ধ করা হবে না, এ বিষয়ে জানতে ১৫ দিনের মধ্যে যমুনা টিভি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকাকে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ উৎপল ভট্টাচার্য এ আদেশ দেন। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে গত মঙ্গলবার যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পৃথক দুটি মামলা করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ এবং প্রচারের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য করেছিলেন।
রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পক্ষে ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ উৎপল ভট্টাচার্যের আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন।
যমুনা টিভির বিরুদ্ধে মামলায় বিবাদী করা হয়েছে যমুনা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), প্রধান বার্তা সম্পাদক (চিফ নিউজ এডিটর), প্রতিবেদক মাহাবুবুর রহমান রিপন, শিবলী নোমান ও নাজমুল হাসানকে।
যুগান্তরের বিরুদ্ধে মামলায় বিবাদী করা হয়েছে যুগান্তর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, প্রধান প্রতিবেদক (চিফ রিপোর্টার) ও প্রকাশককে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মিথ্যা ও মানহানিকর প্রতিবেদন প্রচার এবং প্রকাশ করে। এতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মানহানি হয়েছে এবং দুই হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে যমুনা টিভি ও দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে এর আগে আরও তিনটি মামলা হয় ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে। ২০১৪ সালে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি, ২০১৫ সালে গ্রামীণফোন এবং ২০১৬ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বাদী হয়ে মামলা তিনটি করে। মামলা তিনটি বর্তমানে বিচারাধীন।
জেএ/জেডএ/জেআইএম