১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে দণ্ডনীয় অপরাধ : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিয়ে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না। ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে দেয়া বা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

আইনমন্ত্রী বলেন, যুগোপযোগী শিক্ষা ছাড়া সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই সরকার ভিশন-২০২১ এবং ভিশন ২০৪১-কে সামনে রেখে সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষাকে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছে। এ জন্য সরকার বছরের প্রথম দিনেই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক, উপবৃত্তি প্রদান, শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা, কারিগরি শিক্ষার প্রসার ও মাদরাসা শিক্ষা আধুনিকায়নসহ নানা কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্যের ধারা হয়েছে অবারিত।

আইনমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠির উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে সরকারি, বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিমধ্যে প্রান্তিক পর্যায়ে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। মূলত মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম সুবিধা বঞ্চিত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি চমৎকার সুযোগ। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বেতন ও ফি প্রদান, গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, টাকা জমা ও উত্তোলন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হচ্ছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক দেশে প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে। সত্যিকার অর্থে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

তিনি বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিন দেশ পরিচালনা করবে। তারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে। তাই এ তরুণ সমাজের মেধা বিকাশে সঠিক যত্ম ও রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সকলের জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। সরকারের একার পক্ষে এ বিশাল দায়িত্ব পালন করা দুরূহ ব্যাপার। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তি বিশেষকে এগিয়ে আসতে হবে।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন বক্তৃতা করেন।

এফএইচ/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।