ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম এশিয়া ইয়ং লিডার মনোনীত
আইন পেশায় দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ‘এশিয়া ২১ ইয়ং লিডার-২০১৮’ মনোনীত হয়েছেন। শনিবার এশিয়া সোসাইটির ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ২০১৮ সালে একমাত্র তিনিই এ গৌরব অর্জন করলেন।
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম সম্প্রতি তামাদি হয়ে যাওয়া ও বিভিন্ন বৈষম্যমূলক আইনকে বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন। এর মধ্যে রয়েছে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের আইনগত বাধ্যবাধকতা, মৃত্যু পরবর্তী অঙ্গদানসহ বিভিন্ন মৌলিক নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা সংক্রান্ত আইনি কাঠামো তৈরি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষাপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল’ ফার্ম বেকার অ্যান্ড মেকাঞ্জির লন্ডন অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় কোম্পানি এবং বাণিজ্যিক আইন বিষয়ে প্রভূত অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। বিশ্বখ্যাত মিত্তাল এবং শিন্ডার ইলেক্ট্রিক কোম্পানিকে প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার ঝুড়িতে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানীয় বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এবং বহুজাতিক কোম্পানিকে আইনি পরামর্শ এবং সেবা দিচ্ছেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। চেম্বারস অ্যান্ড পার্টনারস, এশিয়া প্যাসিফিক-২০১৮ এর একজন শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী তিনি। এ ছাড়া জনস্বার্থে দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় সাফল্য, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
ব্যারিস্টার রাশনা ইমামের বাবা ব্যারিস্টার আখতার ইমাম সুপ্রিম কোর্টের স্বনামধন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং স্বামী ববি হাজ্জাজ রাজনীতিবিদ।
এশিয়া ২১ ইয়ং লিডারস-২০১৮ এর তালিকায় রয়েছেন মঙ্গোলিয়ার উপ-অর্থমন্ত্রী বুলগানতোয়া কুরিলবাটার, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ব্যক্তিগত সহায়ক ডিভাইস নিয়ে কাজ করা ভারতের রুপম শর্মা এবং অস্ট্রেলিয়ার সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য টিমোথি ওয়াটস।
উল্লেখ্য, এশিয়া ২১ ইয়ং লিডারস এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের তরুণ নেতাদের সবচেয়ে শক্তিশালী প্লাটফরম, যাদের ৪০টি দেশে প্রায় ৯০০ প্রভাবশালী অ্যালামনাই রয়েছে।
এশিয়া সোসাইটির উদ্যোগে ১৯৫৬ সালে জন ডি রকফেলার তৃতীয় এটা প্রতিষ্ঠা করেন। এটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এর লক্ষ্য এশিয়া এবং আমেরিকার সাধারণ জনগণ, নেতা এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতা এবং বোঝাপড়ার সম্পর্ককে মজবুত করা।
এফএইচ/এসএইচএস/জেআইএম