শহিদুল আলমের চিকিৎসার জন্য ফের আবেদন
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের স্থাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদন করেছে তার পরিবার। শুক্রবার ( ২৪ আগস্ট) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার বরাবর ই-মেইলে ওই আবেদন পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ূয়া। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় কারাগারে রয়েছেন শহিদুল আলম।
জানা গেছে, ঈদের দিন শহিদুল আলমের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করেন। পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ূয়া জানান, শহিদুল আলমের মুখে ব্যথা থাকায় তিনি ঠিকমতো খেতে পারছেন না, শ্বাসকষ্ট ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। এ অবস্থায় শহিদুল আলমকে চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য ঈদের দিন (২২ আগস্ট) কারা কর্তৃপক্ষ বরাবরে ই-মেইলে আবেদন পাঠানো হয়। সেদিন সন্ধ্যায় কারা হাসপাতালে তাকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। এরপরও অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় প্রথম দফায় চিকিৎসা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে শুক্রবার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার বরাবরে দ্বিতীয় দফায় ই-মেইলে আবেদন পাঠানো হয়। এতে শহিদুল আলমের স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও তাকে চিকিৎসাসেবা দিতে আবেদন জানানো হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে তুলে নেয়া হয় ডিবি পরিচয়ে। সাত দিনের রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত। তবে, শহিদুল আলমকে আটকের পর নির্যাতন ও রিমান্ডে পাঠানোর বৈধতা নিয়ে এবং চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে গত ৭ আগস্ট রিট করেন তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ, যার ওপর শুনানি নিয়ে সেদিন হাইকোর্ট আদেশ দেন। আদেশে শহিদুল আলমের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলা হয়। একই সঙ্গে তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে ৯ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরদিন ৮ আগস্ট শহিদুলকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নেয়া হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে আবারও গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা তখন বলেছিলেন, হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড মত দিয়েছে যে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শহিদুলের শারীরিক অবস্থা ভালো।
এফএইচ/জেডএ/পিআর