বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ ছাত্রের জামিন নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২৩ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৮
ছবি ফাইল

পুলিশের কর্তব্যে বাধা ও ভাঙচুরের মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ ছাত্রের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার এ আদেশ দেন।

এদিন রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা মামলায় আসামি রাশেদুল ইসলাম, মুসফিকুর রহমান, হাসান, জাহিদুল হক ও নুর মোহাম্মদের জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। ভাটারা থানার করা মামলায় আসামি সাবের আহম্মেদ, শিহাব শাহরিয়ার ও সাখাওয়াত হোসেনের জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে বাড্ডা ও ভাটারা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ জামিনের বিরোধীতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার বাড্ডা থানার মামলায় আসামি তরিকুল ইসলাম, রেদোয়ান আহম্মেদ ও ভাটারা থানার মামলায় আসামি মাসহাদ মুর্তজা আহাদ এবং আজিজুল করিম অন্তরের জামিনের আবেদন নামঞ্জুনর করেন আদালত। গত ৯ আগস্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ২২ ছাত্রের মধ্যে এই চারজনও রয়েছে।

গত ৭ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা দেয়া ও ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় এই ২২ ছাত্রের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। ওই ২২ শিক্ষার্থী ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এর মধ্যে বাড্ডা থানার এক মামলায় ১৪ জন, ভাটারা থানা আরেক মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়। বাড্ডার মামলায় ১৪ ছাত্র হলেন- রিসালাতুল ফেরদৌস, রেদোয়ান আহমেদ, রাশেদুল ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালিদ রেজা, তারিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মাদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক ও হাসান।

অপরদিকে ভাটারা থানার মামলায় ৮ ছাত্র হলেন- আজিজুল করিম, মাসাদ মরতুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন ও আমিনুল এহসান।

জেএ/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।