'ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন শহিদুল আলম'
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের।
শিক্ষার্থীদের ‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট’ করার অভিযোগে আটক আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে ডিবি হেফাজতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে কি না জানতে চেয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের পর বৃহস্পতিবার তিনি তার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, বিদেশি টিভি চ্যানেলে (আল জাজিরা) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশোদাগার করে রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছেন তিনি। ওনি দেশের ভেতরে আপনাদের সাংবাদিকদের সামনে বলতে পারেন। কিন্তু তিনি বিদেশি চ্যানেলে রাষ্ট্রের বিষয়ে বিশোদাগার করেছেন।
শহিদুল আলমের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি অপরাধ করেছেন। আমি বলেছি যে, এফআইআরেই বলা আছে, তিনি কীভাবে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, সেখানে অনেকগুলো মিথ্যাচার করা হয়েছে।
অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, সেখানে (ফেসবুকে) তিনি বলেছেন নারীদের ধরে নিয়ে গেছে। তারা উধাও হয়ে গেছে। এই ইঙ্গিতগুলো কিন্তু খুব খারাপ ইঙ্গিত।
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো পুলিশ তদন্ত না করলেতো আমি বলতে পারবো না। এগুলো পুলিশ তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে। তবে, যাই হোক এগুলো ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হিসেবে ওনি কাজ করেছেন।
কী ষড়যন্ত্র- এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, ষড়যন্ত্র হলো, এই ছেলেদের রাস্তায় নমিয়ে এমন একটা অবস্থা তৈরি করা, দেখানো যে দেশে সরকার নাই। কারণ এদের নামানো খুব সহজ। এর আগে যেমন, মাদরাসার ছাত্রদের নামানো হয়েছিল। মাদরাসার ছাত্র বা মৌলভী সাহেব, ধর্মগুরু যারা আছেন ধর্মশিক্ষা-দীক্ষা যারা দেন, তাদের প্রতি সমাজের মানুষের আলাদা শ্রদ্বাবোধ আছে। এ জন্য তাদের নামিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।
তিনি বলেন, এর মধ্যে তো আপনারা জানেন, বিশেষ রাজনৈতিক দলের এক নেতা ফোনে কথা বলেছিলেন। তাদের পুলিশ ধরতে পেরেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। এটা তো একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য।
এফএইচ/জেডএ/জেআইএম