যোগ্যরা জামিন পায় না অথচ গ্রেফতারের ৩ ঘণ্টায় জামিন : হাইকোর্ট
দুদকের মামলায় গ্রেফতারের তিন ঘণ্টার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হকসহ দুইজনের জামিন হওয়ায় হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছেন।
এ সময় হাইকোর্ট বলেছেন, ওরা কত সৌভাগ্যবান। গ্রেফতারের তিন ঘণ্টার মধ্যে জামিন হয়ে গেছে। অথচ পত্রপত্রিকায় খবরে দেখি অনেক জামিনযোগ্য মামলায় জামিন হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর বেঞ্চ এই প্রশ্ন তোলেন।
আদালতে আজ ওয়াহিদুল হকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন- আরশাদুর রউফ ও শেখ বাহারুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
বিচার শুরুর আগেই বিশেষ আইনের কোনো মামলায় বিচারিক হাকিম (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) আদালত কোনো আসামিকে জামিন দিতে পারে কিনা তা নিষ্পত্তির জন্য তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত এই বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে আজ। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৯ আগস্ট পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আদালত।
একশ ৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ওয়াহিদুল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গত ২৫ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলার পর ওইদিনই ওয়াহিদুল হক, আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও সাইফুল হককে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর তাদের মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হলে আদালত ওয়াহিদুল হক ও মোস্তফা কামালকে জামিন দেন। আর জ্ঞিাসাবাদের জন্য সাইফুল হককে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতে দেয়া হয়।
এ বিষয়টি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চের নজরে আসার পর দুইজনের জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে গত ৩১ জানুয়ারি রুল জারি করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। সঙ্গে সঙ্গে, নিম্ন আদালতে থাকা মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠাতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতকে নির্দেশ দেয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় এ আদালত ৪ এপ্রিল এক আদেশে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের সুপারিশ করে মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। এ অবস্থায় ২৫ জুলাই প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন মামলা শুনানির জন্য একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন।
এফএইচ/এমআরএম/জেআইএম