বরিশালে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানি না করার নির্দেশ
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক ও নির্বাচন প্রচারকারীদের গ্রেফতার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বরিশালের পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের প্রতি এই নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার এক রিট শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।
এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন জানান, রিটের শুনানি নিয়ে অন্তবর্তী আদেশের পাশাপাশি আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ না করে রাজনৈতিক নেতা, কর্মী, সমর্থক ও নির্বাচন প্রচারকারীদের বৈষম্যমূলকভাবে গ্রেফতার ও হয়রানি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বরিশালের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বরিশালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগে বরিশালের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মজিবুর রহমান সরোয়ার বুধবার (২৫ জুলাই) রিট আবেদনটি দায়ের করেন। আজ ওই রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৩০ জুলাই। এ নির্বাচনে একজন মেয়র, ৩০ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আরও ১০ জনকে নির্বাচিত করা হবে। মোট ভোটার দুই লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে এক লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ পুরুষ এবং এক লাখ ২০ হাজার ৭৩০ নারী ভোটার রয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গ্রেফতার বিষয়ে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির নেতা, কর্মী, সমর্থক ও নির্বাচন প্রচারকারীদের গ্রেফতার ও হয়রানি না করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই আদেশ দিয়েছিলেন।
এফএইচ/এসআর/আরআইপি