বাবা ছিলেন আমার শিক্ষক : প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৯ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৮
ফাইল ছবি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বাবাই ছিলেন আমার শিক্ষক। পিতাকে হারিয়ে মনে হয়, আমার ওপর ছায়াও চলে গেছে। বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সফিউর রহমান মিলনায়তনে প্রধান বিচারপতির বাবা সৈয়দ মোস্তফা আলীর স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতির বাবার জন্য দোয়া কামনা করে বুধবার বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি এ মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।

দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আজকে আপনারা এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আমার প্রতি যে সহানুভূতি দেখালেন সেটা আজীবন স্মরণ থাকবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক সন্তানের কাছেই তার পিতার মৃত্যু খুবই কষ্টের। পিতা বেশি বয়সে মারা যেতে পারে কিন্তু তারপরও পিতার মৃত্যু সন্তানের জন্য কষ্টকর।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেন, সৈয়দ মোস্তফা আলী ছিলেন সবচেয়ে ভাগ্যবান একজন আইনজীবী। তিনি বেঁচে থেকে দেখে গেলেন তার এক সন্তান দেশের প্রধান বিচারপতি। একজন আইনজীবীর এর থেকে বেশি কিছু পাওয়ার নেই। নিজের সন্তানকে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দেখে যাওয়া এর থেকে সৌভাগ্যের আর কী থাকতে পারে।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, প্রধান বিচারপতির বাবার জীবন স্বার্থক। তিনি সুস্থভাবে বেঁচেছিলেন।

বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, সেই ই সফল পিতা যিনি তার সন্তানকে সঠিকভাবে লালন পালন করে প্রতিষ্ঠিত করে। তার সন্তানেরা আজ প্রতিষ্ঠিত। এটাই প্রমাণ করে তিনি একজন সফল পিতা।

দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন- সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সিনিয়র আইনজীবী সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু।

এছাড়া দোয়া মাহফিলে অংশ নেন আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা। পরে তার মরহুম পিতার জন্য দোয়া কামনা করে।

গত ২৬ জুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের পিতা সৈয়দ মোস্তফা আলী বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যান।

এফএইচ/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।