মামলার ভয়ে ঘরছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াসের জামিন
পুলিশি হামলা ও মামলার ভয়ে ঘরছাড়া বাগেরহাট রামপালের বাঁশতলীর গিলাতলার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা শেখ ইলিয়াস আহম্মেদকে চার সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
জামিন আদেশের বিষয়টি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রাজ্জাক।
হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহম্মেদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাগেরহাট রামপালের বাঁশতলীর গিলাতলাধীন এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা শেখ ইলিয়াস আহম্মেদের বাড়ির সঙ্গে হামীম পরিবহনের (ঢাকা টু রামপাল) একটি কাউন্টার রয়েছে। বাড়ির সঙ্গে ও রাস্তার পাশে থাকা ওই বাস কাউন্টারের জন্য পুলিশ প্রায়ই ইলিয়াস আহম্মেদের কাছে অবৈধভাবে টাকা দাবি করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ জুলাই কয়েকজন পুলিশ এসে টাকা দাবি করলে ইলিয়াস আহম্মেদের দুই ছেলে (শেখ রাসেল ও শেখ মামুন) বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। এক পর্যায়ে ইলিয়াস আহম্মেদ ও তার দুই ছেলের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা দেখে স্থানীয়রাও এসে পুলিশদের ওপর চড়াও হয়। পরে পুলিশ সদস্যরা তাদের মাদক ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে ক্রসফায়ারে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
‘কিন্তু ঘটনার কিছুক্ষণ পরে ওই এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি বেড়ে যায়। এরপর ওইদিন সন্ধ্যা থেকে ইলিয়াস আহম্মেদের বাড়িতে প্রবেশ করে পুলিশ কয়েকদফা তাদের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ওইদিন রাত ১২টার সময় কয়েকজন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ইলিয়াস আহম্মেদ ও তার দুই ছেলে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে পুলিশ বাড়িতে থাকা ইলিয়াস আহম্মেদের স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। পরদিন (৫ জুলাই) দুপুরে পুলিশ ফাতেমা বেগমকে আদালতে হাজির করলে তিনি আদালত থেকে জামিন পান।’
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনার পর রামপাল থানার কনস্টেবল মো. ইউসুফ শিকদার বাদী হয়ে মামলা করেন। বেআইনি সমাবেশ করে সরকারি কর্মচারীকে কর্তব্য পালনে বাধা ও গুরুতর আঘাত করার অভিযোগ এনে ওই মামলা করা হয়। পরে সেই মামলায় জামিন আবেদন করলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ইলিয়াস আহম্মেদকে চার সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এফএইচ/জেএইচ/এমএস