কুমিল্লার নাশকতা মামলা স্থগিতের শুনানি ১৫ জুলাই
বিস্ফোরকদ্রব্য সংক্রান্ত বিশেষ ক্ষমতা আইনে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের করা এক মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের ওপর হাইকোর্টে পুনরায় শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ওই মামলার পরপর তিনদিনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আমিনুল হক। সঙ্গে ছিলেন কায়সার কামাল, এ কে এম এহসানুর রহান, ফাইয়াজ জিবরান, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, সালমা সুলতানা সোমা প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
গত ২৮ মে কুমিল্লার নাশকতার দুই মামলায় ছয় মাসের জামিন পান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিনের আদেশ দেন।
২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে দুষ্কৃতকারীদের বাস পোড়ানোর ঘটনায় মামলা করা হয়।
২০১৭ সালের ২ মার্চ ওই মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলা বাতিল চেয়ে ২৭ মে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এর ওপর আগে দুদিন শুনানি হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন। ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। যেটি গত ১৭ মে বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
খালেদা জিয়াকে আরও ছয় মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবীরা। তাই কারামুক্তির জন্য সব মামলায় তাকে জামিন পেতে হবে। মামলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় তিনটি ও নড়াইলে একটি এবং বাকি দুটি ঢাকার।
এফএইচ/এমএআর/পিআর