কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
ফেজবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে গ্রেফতার সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সমন্বয়কারী মো. রাশেদ খানের দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন পুলিশ।
সোমবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় শাহবাগ থানায় দায়ের করা তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমের উপ-পরিদর্শক সজীবুজ্জামান।
বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলামের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
এর আগে (১ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলটি করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়। ঢাকা মহানগর হাকিম আমিনুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ জুলাই দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন যা প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রক্রিয়াধীন। এরপরও গত ২৭ জুন রাশেদ খান কোটা সংস্কার চাই নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দেন।
এসব মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। এমন অভিযোগে রোববার (১ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগ থানায় রাশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
জেএ/এমবিআর/এমএস