মায়ার পদ নিয়ে করা রিটের শুনানি হচ্ছে না আজ
ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া কোন কর্তৃত্ববলে মন্ত্রী এবং এমপি পদে আছেন এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা আজ হবে না বলে জানা গেছে। এর আগে সোমবার রিটের কার্যকারিতা নেই বলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে জানান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার আইনজীবী আব্দুল বাসেত মুজমদার।
আব্দুল বাসেত মুজমদার বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেছি। নিয়ম অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে কোন আবেদন পেন্ডিং থাকলে তার অধীনে অন্য কোন আদালতে আবেদনের শুনানি হতে পারে না।
তার আগে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামাল এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হয় বলে জানান রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
এর আগে গত ৭ জুলাই ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মন্ত্রীত্ব ও এমপি পদ চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ রিট আবেদন করেন বলে তিনি নিজে জানান।
রিটে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে গত ৩০ জুন দুর্নীতির মামলায় খালাসের রায় বাতিল হওয়ার পর কোন কর্তৃত্ববলে এখনো মন্ত্রী এমপি পদে বহাল রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মায়া তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানতে চেয়ে মায়াকে একটি উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলো আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। তার জবাব না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
নোটিসে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ এর ২ (ঘ) দফা অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়, সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তবে তিনি সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না।
কারণ গত ১৪ জুন একটি দুর্নীতি মামলায় মায়াকে খালাস করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে নতুন করে আপিল শুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের এই রায়ের পরে মায়ার পদে থাকা নিয়ে দুই রকম বক্তব্য আসে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন মন্ত্রী পদে মায়া থাকবেন কি না তা নির্ধারণ করবে হাইকোর্ট। অপরদিকে মায়ার আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদারের দাবি, যেহেতু আপিল বিচারাধীন, সেহেতু মন্ত্রিত্ব ও সংসদ সদস্য পদ নিয়ে ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদটি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম মায়ার সংসদ সদস্য পদ ধরে রাখা এখন উচিত নয় বলে দাবি করেছেন।
এফএইচ/এআরএস/এমএস