চসিক মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যানসহ ৮ জনকে আইনি নোটিশ
কর্ণফুলী নদী রক্ষায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যানসহ ৮ জনকে আদালত অবমাননার অভিযোগে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রায় অনুসারে কর্ণফুলী নদীর জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য বলা হয়েছে।
২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে দায়ের করা একটি রিটের শুনানিতে আদালত রুল জারি করেন। সে সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে হাইকোর্ট ১১ দফা নির্দেশনা দেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
সোমবার (২৫ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন—চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, সিডিএ’র সচিব ও চিফ এক্সিকিউটিভ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান।
মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১০ সালের ১৪ জুলাই একটি জাতীয় পত্রিকায় কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখল সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। এ সময় বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানিতে ১১ দফা নির্দেশনাও দেন।’
তিনি বলেন, ‘ওইসব নির্দেশনায় ৯০ দিনের মধ্যে মামলার বিবাদীদেরকে নদীর জায়গা থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ এবং জলাধার সংরক্ষণ আইনের ৫, ৮, ৬ (ঙ) ধারা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। কিন্তু ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট উক্ত রায়ের অনুলিপি বিবাদীদের কাছে পাঠানো হলেও প্রায় দুই বছর পরও কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই মামলার বিবাদীদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।’
আবু আজাদ/এমএমজেড/জেআইএম