পুনর্গঠিত বেঞ্চের কার্যক্রম ২৪ জুন থেকে
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়েছে। হাইকোর্টের দ্বৈত ও একক বেঞ্চে পুনর্গঠনের পর বেঞ্চের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এখন ৫৮টি।
বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের বেঞ্চগুলো পুনর্গঠন করে দেন।
নতুন করে গঠন করা এসব একক ও দ্বৈত বেঞ্চের নতুন বিচারিক এখতিয়ার নির্ধারণও করে দেয়া হয়েছে। বেঞ্চগুলো সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শেষের পর আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম শুরুর দিন থেকে তাদের কার্যক্রমও শুরু করবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মহামুদ হোসেন স্বাক্ষরিত সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা গঠনবিধিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৮ ইং সনের ২ (২০) নং গঠনবিধি অনুযায়ী আমি এতদ্বারা নির্দেশ করিতেছি যে, আগামী ২৪ জুন ২০১৮ইং রোববার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে যে সব বিষয় এসব বেঞ্চে স্থানান্তরিত হবে এবং উপরে উল্লেখিত বিষয়াদি সংক্রান্ত মামলা, রুল, আবেদন গ্রহণ করবেন সে হিসেবে আগামী (২৪ জুন) রোববার থেকে নতুন এখতিয়ার অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করবেন হাইকোর্টের দ্বৈত ও একক বেঞ্চ।
এর আগে ৩০ মে হাইকোর্টে ১৮ জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়। পরের দিন ৩১ মে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি। এরপর নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত বিচারকদের জন্য বুধবার (২০ জুন) তাদের জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি।
বেঞ্চ গঠনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল জাগো নিউজকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য দ্বৈত ও একক বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনার জন্য লার্জার (বৃহত্তর বিশেষ) বেঞ্চ গঠন করা হয়।
পুনর্গঠিত যেসব দ্বৈত বেঞ্চকে রিট মামলার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইকবাল কবির, বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দি, বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম, বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি শশাংক শেখর সরকার, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী, বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের, বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আর জলিল, বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ।
ফৌজদারি মামলা শুনানি করতে পারবেন যেসব বেঞ্চ
বিচারপতি মো. আবু তারিকের একক বেঞ্চ, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান এবং বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ, বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক বেঞ্চ, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী, বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর দ্বৈত বেঞ্চ, বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চ, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিচারপতি এম ফারুক ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের দ্বৈত বেঞ্চ, বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক বেঞ্চ, বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি মো. শহিদুল করিম, বিচারপতি এন এম বশির উল্লাহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ, বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের একক বেঞ্চ, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মবিন, বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চকে।
বাকিদের দেওয়ানি, ক্যু সংক্রান্ত বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাদা আলাদা বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
এফএইচ/এমএআর/জেআইএম