সাঈদীর প্যারোলে মুক্তির আবেদন
মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করা হয়েছে। ছোট ভাই হুমায়ন কবির সাঈদীর (৫৭) জানাজায় অংশ নিতে এ আবেদন করা হয়।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর তৃতীয় ছেলে ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাসুদ সাঈদী জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার ভোরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চাচা হুমায়ন কবির সাঈদী মারা যান। গত কয়েকদিন ধরে তিনি নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া তিনি হৃদরোগেও আক্রান্ত ছিলেন। মারা যাওয়ার আগে মরহুমের শেষ অসিয়ত অনুযায়ী জানাজা নামাজ বাবাকে (দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী) পড়াতে বলে গেছেন। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্র রেখে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাবার প্যারোলে মুক্তির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর আবেদন করা হয়েছে। মরহুমের জানাজা রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাঈদী প্যারোলে আরও দুইবার মুক্তি পেয়েছিলেন।
প্রথম- তার মা গুলনাহার ইউসুফ সাঈদীর মৃত্যুর সময় ২০১১ সালের ২৮ অক্টোবর। সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাঈদীর মায়ের জানাজায় অংশ নিতে দুই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল।
দ্বিতীয়- বড় ছেলে রাফিক বিন সাঈদীর মৃত্যুর সময় তার জানাজায় অংশ নিতে ২০১২ সালের ১৩ জুন প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। ওইদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে বিকেল ৫টা থেকে জানাজা শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্য মুক্তি দেয়।
প্রসঙ্গত- দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীরা তিন ভাই এবং এক বোন। সাঈদী সবার বড়।
২০১৩ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন।
পরে আপিলের রায় রিভিউ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও সাঈদী পৃথক আবেদন করেন। ২০১৭ সালের ১৫ মে রিভিউর রায়ে সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এর আগে ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের এক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এখন তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
এফএইচ/আরএস/এএইচ/পিআর