গ্যাটকো মামলায় খালেদার আবেদনের রায় ৫ আগস্ট
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনের রায়ের দিন ৫ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আব্দুর রব এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই দিন ধার্য
করেনে।
আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জাগো নিউজকে বলেন ‘গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা নিয়ে খালেদা জিয়ার করা দুটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন। এ রুলের ওপর উভয় পক্ষের শুনানির পর বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি রোববারের কার্যতালিকায় এসেছে এবং রায়ের জন্য ৫ অগাস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।
দুদক আইনে গ্যাটকো মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার আনা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই হাইকোর্ট মামলা প্রশ্নে রুল জারি ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেন।
এর আগে মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিটের শুনানির পর মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করা কেন ‘বে-আইনি ও কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয় এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগে বাতিল হয়ে যায়।
দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে।
২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্রগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।
এফএইচ/এআরএস/এসকেডি/এমএস