দুই মামলায় খালেদার জামিন বিষয়ে আদেশ বৃহস্পতিবার
ঢাকার মানহানির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন হাইকোর্ট।
মামলা দুটি হলো, বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা অবমাননা করা এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালন।
একই সঙ্গে, ওইদিন (৩১ মে) অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি শেষে আদালত জামিন বিষয়ে আদেশ দেবেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন।
এর আগে বেলা ২টার দিকে খালেদার পক্ষে প্রায় এক ঘণ্টা শুনানি করেন তার আইনজীবীরা। পরে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল এর শুনানি শেষ করার পর আগামী বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে ঠিক করেন আদালত।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন ও ফরহাদ হোসেন।
এর আগে ২২ মে সকালে ওই দুই মামলায় জামিন চেয়ে আদালতে অনুমতি চান খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সেই আবেদন দুটি আজ মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন । ধার্য দিনে খালেদার পক্ষে শুনানি শেষ করার পর আদেশ এবং রাষ্ট্রপক্ষের শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ঠিক করেন আদালত।
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আলবদর ও রাজাকারদের গাড়িতে দেয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানির মামলা করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। এ মামলায় ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর তার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। গত ১২ এপ্রিল আইনজীবীরা এ মামলায় জামিন চান। এরপর গত ১৭ মে আদালত তৃতীয় দফায় সময় পিছিয়ে আদেশের জন্য আগামী ৫ জুলাই আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। এ অবস্থায় তার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগ
মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অপর মামলাটি করেন। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর গত ২৫ এপ্রিল এ মামলায় খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু জামিন না দিয়ে ১৭ মে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত। পরবর্তীতে ওই তারিখে তার গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকরের আদেশ দিয়ে ৫ জুলাই জামিন বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন। এ অবস্থায় তার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
এফএইচ/জেএইচ/জেআইএম