হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই
কল্যাণ ট্রাস্টের (হিন্দু ধর্মীয়) ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত। এর ফলে, ওই পদে নিয়োগপ্রাপ্ত সুব্রত পালের দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
নতুন নিয়োগ পাওয়া ভাইস চেয়ারম্যান পদের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। আজ ট্রাস্টের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, গত ৮ এপ্রিল সুব্রত পালকে ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয়। এই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ট্রাস্টের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি গৌর গোপাল সাহা গত ৬ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি গত ৮ মে তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, সুব্রত পালের নিয়োগকে কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। হাইকোর্টের সেই স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। আজ সেই আবেদন শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত আজ ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন। এর ফলে সুব্রত পালের দায়িত্ব পালনে আর কোনো বাধা থাকল না।
১৯৮৩ সালের আইন অনুযায়ী হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়। আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী ধর্মমন্ত্রী পদাধিকার বলে ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। একই ধারা অনুযায়ী সরকার তিন বছরের জন্য ট্রাস্টি নিয়োগ করে। ট্রাস্টিদের মধ্য থেকে একজনকে সরকার ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়।
এফএইচ/জেএইচ/পিআর