রায়ের দিন শুনানির সুযোগ পেলেন অ্যাটর্নি জেনারেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৪৩ এএম, ১৫ মে ২০১৮
ছবি-ফাইল

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে আপিলের ওপর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে আবারও শুনানি করার সুযোগ দিলেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শুনানি করতে বলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ।

সকালে ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রায় ঘোষণার জন্য বিচারপতিরা এজলাসে আসন গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল দাঁড়িয়ে আরও শুনানি করার জন্য একদিন সময় আবেদন করেন।

তিনি বলেন, আমার কিছু সাবমিশন ছিল। ওই দিন হৈ চৈ হট্টগোলের জন্য ঠিক মতো শুনানি করতে পারিনি। আমি আবারও শুনানি করতে চাই।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, একদিন সময় দিতে পারব না। কারণ, আগামীকাল আমার একজন ব্রাদার আদালতে আসতে পারবেন না।

এরপর অ্যটর্নি জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনি সাড়ে ১১টার দিকে আসেন। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন ১২টায় দেন। তখন আদালত ১২টায় শুনানির জন্য সময় দেন। এরপর আইনজীবীরা আদালত থেকে বের হয়ে যান।

এদিকে রায় পেছানোকে একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, সরকার ও অ্যাটর্নি জেনারেল ষড়যন্ত্র করে এসব করছে।

প্রধান বিচারপতি এসময় অন্য বিচারপতিদের সাথে পরামর্শ করে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন, আগামীকাল আবার এক ব্রাদার আসতে পারবেন না। এরপর সাড়ে ১১টায় শুনানির জন্য সময় রাখেন। এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে আবারও বলেন শুনানির কথা। তখন দুপুর ১২টায় শুনানির জন্য রাখেন।

খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশর বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল নিয়ে দুইদিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ৮ ও ৯ মে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। খালেদা জিয়ার জামিন বাতিলের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আর দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম।খান।

অপর দিকে খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রাখতে খালেদা জিয়ার পক্ষে চারজন আইনজীবী শুনানি করেন। এরা হলেন- সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদন।

গত ১৯ মার্চ মামলাটি শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেছিলেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন একই বেঞ্চ। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের লিভ টু আপিল এবং আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া সংক্রান্ত খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর এই শুনানি হয়।

গত ১২ মার্চ দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত।

এরপর ১৯ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ ৮ মে পর্যন্ত জামিন স্থগিতের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীদের আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেন।

চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায়ের দিনই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এফএইচ/এমবিআর/এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।