ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর : গ্রেফতার ৪ জন রিমান্ডে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মালামাল চুরির ঘটনায় গ্রেফতার চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার তাদের আদালতে হাজির করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদের মধ্যে রাকিবুল হাসান ওরফে রাকিব চার দিন, আলী হোসেন শেখ ওরফে আলী ৩ দিন, মাসুদ আলম ওরফে মাসুদ ও আবু সাইদ ফজলে রাব্বী ওরফে সিয়ামের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান।
এর আগে রোববার রাজধানীর চানখারপুল এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, গত ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এস এম কামরুল আহ্সানের দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শাহবাগ থানায় দায়ের করা ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৯ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাতনামা অনেক মুখোশধারী সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতিকারী হাতে লোহার রড, পাইপ, হেমার, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে বেআইনি জনতাবদ্ধে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের বাউন্ডারি ওয়াল টপকে এবং ভবনের মূল ফটকের তালা ভেঙে ভবনের ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করে বাসভবনের মূল্যবান জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টিভি, লাইট, কমোড ও বেসিনসহ অনেক মালামাল ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে এবং মূল্যবান সম্পদ লুটতরাজ করে। তাছাড়া ভবনে রক্ষিত দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং আরও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এছাড়াও ভবনে রক্ষিত সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভেঙে ফেলে এবং সিসি ক্যামেরার ডিভিআরগুলো আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলে ।
ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- গ্রেফতারকৃত চারজনের মধ্যে কেউই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়। শুধুমাত্র মাসুদ আলম ঢাকা আলিয়া মাদরাসার ছাত্র। অন্যরা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র নয়। এরমধ্যে গ্রেফতারকৃত রাকিবের নামে বরিশাল ও লক্ষ্মীপুরে ৫টি মামলা রয়েছে।
জেএ/জেইউ/জেএইচ