শিক্ষকদের সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
দেশের সরকারি স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও বে আইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ পাঁচজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আমিমুল এহসান জুবায়ের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আইনজীবী আমিমুল এহসান জুবায়ের জানান, ২০১২ সালের সরকার এক গেজেট জারি করে সহকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা দেয় এবং পদ অনুযায়ী তাদের দুটি টাইম স্কেল ও একটি সিলেকশন গ্রেড পাওয়ার কথা। কিন্তু ২০১৫ সালের পে-স্কেল আদেশ অনুযায়ী সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে সহকারী শিক্ষকদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি পেলেও সময়ে সময়ে বেতন ভাতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া রুদ্ধ হয়ে যায়।
২০১৫ সালের সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বিলোপের বিধান চ্যালেঞ্জ করে ১০ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটটি দায়ের করেন ভোলার ফজিলাতুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোহাম্মাদ আলী বেলালসহ দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৩৮৮ জন সরকারি শিক্ষক। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারির আদেশ দেন।
এফএইচ/জেএইচ/এমএস