ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতি : চিশতীসহ চারজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৮ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০১৮

ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপরদিকে তার ছেলেসহ অপর তিনজনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত।

মঙ্গলবার তাদের চারজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক শামছুল আলম।এ সময় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেকের দশ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী চিশতির পাঁচ দিন ও বাকি তিনজনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। চিশতী ছাড়া গ্রেফতার অন্যরা হলেন, চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকের এসভিপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খান। সকালে রাজধানীর গুলশান থানায় দুদকের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হয়। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৬০ কোটি আত্মসাৎ এবং মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।

এর আগে ফারমার্স ব্যাংকের জালিয়াতির ঘটনায় দুদক মাহবুবুল হক চিশতী এবং তার পরিবারের পাঁচ সদস্য, ব্যাংকের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে গত সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ওই তালিকায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নাম নেই। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির গ্রাহকের ঋণের ভাগ নিয়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতী। এর মাধ্যমে দু’জনের নৈতিক স্থলন ঘটেছে এবং তারা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেয়া ফারমার্স ব্যাংকের কার্যক্রম শুরুর পরই অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন কর্মকর্তারা। আস্থার সংকট তৈরি হলে আমানতকারীদের অর্থ তোলার চাপ বাড়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী। পরিচালকের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তারা।

জেএ/ওআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।