দুই বাসের চাপায় হাত হারানো রাজিবকে ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০১ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৮

রাজধানীতে বেপরোয়া গতির দুই বাসের চাপায় হাত হারানো তিতুমীর সরকারি কলেজের ছাত্র রাজিব হোসেনকে ক্ষতিপূরণ দিতে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার জন্য ওই দুই বাস কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব ও সড়ক পরিবহন সচিবসহ মোট আটজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে হাইকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জনস্বার্থে এই রিট আবেদনটি করেন। রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানিতে অংশ নেন।

Bus-30

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সার্ক ফোয়ারার কাছে বেপরোয়া একটি বাসে থাকা তিতুমীর সরকারি কলেজের ডিগ্রির ছাত্র রাজিব হোসেন আরেক বাসের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিজের হাত হারিয়েছেন। যাত্রাবাড়ীর বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে এই ঘটনার শিকার হন তিনি।

রাজিবের বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তিন ভাইয়ের সে সবার বড়। পড়ালেখার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার টাইপ করে তার নিজের এবং ছোট দুই ভাইয়ের খরচ চালাতেন।

ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ার কবীর জানান, বেলা দেড়টার দিকে বাংলামোটর দিক থেকে ফার্মগেটমুখী বিআরটিসির একটি দোতলা বাস সার্ক ফোয়ারার কাছে পান্থকুঞ্জের পাশে সিগনালে থেমেছিল। একই দিক থেকে আসা স্বজন পরিবহন নামের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে দোতলা বাসের পাশের ফাঁক দিয়ে ঢুকে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় রাজিবের ডান হাত দোতলা বাসের সঙ্গে লেগে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Bus-31

শমরিতা হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াজ আহমেদ বলেন, রাজিবের ডান হাতের কনুইয়ের উপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বর্তমানে তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান তিনি।

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আফতাব আলী জানান, ঘটনার পরপরই স্বজন পরিবহনের চালক পালিয়ে যায়। দোতালা বাসের চালক ওয়াহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এফএইচ/এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।