আলাল বাবু রাজিব ও রাজের গ্রেফতার অবৈধ ঘোষণা করে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০১৮

আপিল বিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সভাপতি মিজানুর রহমান রাজের গ্রেফতার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে, এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের আইজি, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট ১৪ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ রুল জারি করেন।

সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা থাকার পরেও বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিটটি দায়ের করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজুদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের পক্ষে অ্যাডভোকেট আশিফা আশরাফি পাপিয়া । সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।

আলাল, বাবু, রাজিব ও রাজের পক্ষে এদিন শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার নওশাদ জামিল এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ও ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল মোতাহার হোসেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি পালনের সময় দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আটক করে পুলিশ।

গত ৬ মার্চ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি )। এদিন জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে সচিবালয় বরাবর ফটকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি চলছিল। ৭ মার্চ তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনের স্কাউট মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজিব আহসানসহ কমপক্ষে ১৫ জনকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে একাধিকবার রিমান্ডে নেয়া হয়।

এ ছাড়া গত ৮ মার্চ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধরেও আটক এড়াতে পারেননি ছাত্রদল উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজ। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এদিন প্রেস ক্লাবে দলটির অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। এ সময় তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়।

বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সংগঠনের নেতাদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে ২৭ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

এফএইচ/এমএআর/এনএফ/আরআইপি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।