খালেদার জামিন স্থগিতের আপিল বুধবারের তালিকায়
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টে দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুই আপিল শুনানির জন্য বুধবারের তালিকায় রয়েছে। মামলায় আপিলের নম্বর (৫১৭ এবং ৫১৮)।
বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ দুই আপিলের শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।
সে হিসেবে আপিল দুটি শুনানির জন্য বুধবারের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের (কজলিস্ট) কার্যতালিকায় এক এবং দুই নম্বরে রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে এক ঘণ্টার ব্যবধানে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক পৃথক পৃথক দুটি আবেদন করেন। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আগামীকাল বুধবার আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বারজজ আদালত।
রাষ্ট্র, দুদক ও আসামি পক্ষের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বারজজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান ও খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদিন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩২ দিন ধরে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
নিম্ন আদালত থেকে ওই মামলার নথি হাইকোর্টে আসার পর তা দেখে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১২ মার্চ সোমবার খালেদার চার মাসের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। সঙ্গে সঙ্গে তার আপিল শুনানির জন্য ওই সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে পেপারবুক প্রস্তুত করারও নির্দেশ দেন।
খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপিল শুনানি শুরুর আদেশ চাইলেও হাইকোর্ট চারটি যুক্তিতে জামিন মঞ্জুর করেন। এগুলো হলো- ১. নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছে, এ সাজায় হাইকোর্টে জামিনের রেওয়াজ আছে। সে বিবেচনায় তিনি জামিন পেতে পারেন। ২. বিচারিক আদালতের নথি এসেছে, কিন্তু আপিল শুনানির জন্য এখনও প্রস্তুত হয়নি। ফলে আসামি জামিনের সুবিধা পেতে পারেন। ৩. বিচারিক আদালতে মামলা চলাকালে খালেদা জিয়া জামিনে ছিলেন; এর অপব্যবহার করেননি। আদালতে নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন। ৪. বয়স এবং বয়সজনিত শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে তাকে জামিন দেয়া যায়।
প্রসঙ্গত: গত ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
চার আসামি হলেন- সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। এদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।
এফএইচ/জেএইচ/এমএস