নির্বাচন চেয়ে আপিলে তাবিথ আউয়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানিতে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

বৃহস্পতিবার তাবিথ আউয়ালের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা আপিল শুনানিতে পক্ষভুক্ত হতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেছি। কারণ আমরা চাই ডিএনসিসির উপনির্বাচন দ্রুত হোক।’

অপর দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি পিছিয়েছেন আদালত।

আদালতে আজ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম. কামাল উপস্থিত না থাকায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ ‘নট টুডে’ বলে আদেশ দেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করে দেন চেম্বার আদালত। গত ১ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে ইসি। গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন ও সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর নির্বাচন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ডিএনসিসি মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচনের ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট দায়ের করেন রাজধানীর উত্তরের বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও ভাটারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।

আইনজীবীরা বলেন, ৯ জানুয়ারির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যিনি প্রার্থী হবেন তিনিও জানেন না তিনি ভোটার কি না। তা ছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে এটা সম্ভব হচ্ছে না।

এ ছাড়া স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারায় বলা হয়েছে, ‘মেয়রের পদসহ করপোরেশনের শতকরা ৭৫ ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, করপোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।’

আইন অনুযায়ী, উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি মিলে কাউন্সিলর শতকরা ৭৫ ভাগ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। সে হিসাবে মেয়র পদই তো গঠিত হচ্ছে না।

তা ছাড়া সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হবেন তারা কতদিনের জন্য নির্বাচিত হবেন। তারা কী পাঁচ বছরের জন্য হবেন, না আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন-সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয় রিট আবেদনে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ নভেম্বর মেয়র আনিসুল হকের আকস্মিক মৃত্যুর পর ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচনের জন্য গত ৯ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে ওই দিন ডিএসসিসির নতুন সংযোজিত ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনেরও তফসিল ঘোষণা করা হয়। একই সময়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৬টি করে ১২টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন করার কথা বলা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল।

এফএইচ/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।