মানহানির মামলায় খালেদাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩৮ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ এবং বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকাকে ‘অপমানিত’ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানোর আবেদন করেছেন মামলার বাদী।

আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবিবের আদালতে মামলার বাদী জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী এই আবেদন করেন।

আবেদনে তিনি বলেন, এ মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তিনি অন্য মামলায় কারাগারে আছেন। তাই তাকে এই মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো হোক।

শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, এ মামলার গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল আজ। এর আগে, গত বছরের ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী। এরপর গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। ১২ নভেম্বর গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিল না করায় ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। ১৪ জানুয়ারি গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিল না করায় ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।

এ মামলার আসামি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে জিয়াউর রহমান তাকে হুমকি ও অবরুদ্ধ করে রাখেন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি ও গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।

২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার অপর আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যু হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

জেএ/এমবিআর/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।