ইয়াবার মামলায় জামিন জালিয়াতি : সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৫৭ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দের মামলার আসামি থানার বর্ধনা দোভাষীপাড়ার মো. ওলা মিয়া ও আম্বিয়া বেগমের ছেলে মো. সেলিম উদ্দিনের কারাগার থেকে মুক্তি এবং জাল জামিননামা তৈরির ঘটনা তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে ওই জামিন জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এই মামলার অপর আসামি মো. রফিকের জামিন শুনানিকালে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রফিকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. রেজাউল করিম ও মোহাম্মদ আজিজুর রহমান মিশু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ফজলুর রহমান খান।

আসামি মো. রফিকের জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে মো. সেলিমের জামিন জালিয়াতির বিষয়টি আদালতের সামনে আসে। আদালত মো. রফিকের জামিন আবেদন খারিজ করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ফজলুর রহমান খান জামিন জালিয়াতির বিষয়ে আদালতের আদেশের কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, জাল আদেশের কপিতে দেখা গেছে, আসামি মো. সেলিমের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবার রহমান খান।

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি মো. সেলিম উদ্দিন, মো. রফিক, শিরিন সুলতানা আখি, আপন মজুমদার ও দীপক দাসকে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি এখন চট্টগ্রামের ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

পরে এ মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন রফিক। গত ২৫ জানুয়ারি এ জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে তার আইনজীবী আদালতকে জানান, এই আদালত থেকে মামলার আরেক আসামি মো. সেলিম উদ্দিন জামিন নিয়েছেন। এই জামিন নিয়ে আদালত সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে জামিন আদেশের কপি আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন।

এ অবস্থায় নির্ধারিত দিনে সেলিমের জামিন আদেশের একটি কপি দাখিল করা হয়। এ কপিতে দেখা যায়, এ আদালত গত ১৩ ডিসেম্বর মো. সেলিমকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন। এ কপি পাওয়ার পর আদালত সুপ্রিম কোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার বেগম সুলতানা, তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আলী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মনিরকে তলব করেন।

নথিপত্র পর্যালোচনা করে তাদের তলব করা হয়। আদালতের আদেশের কপিতে এই তিনজনের স্বাক্ষর রয়েছে। তবে এ তিনজন আদালতে হাজির হয়ে জানান যে ওই স্বাক্ষর তাদের নয়। এরপর আদালত আদেশ দেন।

এফএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।