আইনজীবীদের হট্টগোলে এজলাস কক্ষ ত্যাগ বিচারকের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১১ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮
ফাইল ছবি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অন্যতম আসামি ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপন করছেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। বুধবার বেলা ১১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে এ যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। তবে যুক্তি উপস্থাপনের এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম যুক্তি উপস্থাপনের সময় বিচারককে বলেন, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রধানমন্ত্রীর মতো বক্তব্য নয়, সেটি দলীয় বক্তব্য হয়ে গেছে।

অপরদিকে তার কথার বিরোধিতা করে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আপনি কাকে খুশি করার জন্য এসব কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আপনি আদালতে নিয়ে আসবেন না, আপনি আপনার যুক্তি উপস্থাপন করেন।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় বুধবার বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে বিচারক এজলাস কক্ষ ত্যাগ করে তার খাসকামড়ায় চলে যান।

১৫ মিনিট খাসকামড়ায় থাকার পর বেলা ১২টা ৮ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠেন। এজলাসে উঠে আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (খালেদা জিয়া) সামনে কিভাকে হট্টগোল করেন। ম্যাডামের সম্মানের দিকে আপনারা কি লক্ষ্য করছেন না। রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতেই পারে। তাই বলে জুনিয়র আইনজীবীরা কেন হট্টগোল করবেন। আপনারা সিনিয়রদের দিকে লক্ষ্য করেন তারা কিভাবে চুপ করেছিলেন। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ হাজিরা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে তিনি উপস্থিত হয়ে হাজিরা প্রদান করেন।

জেএ/এআরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।