বিচার বিভাগকে আধুনিকীকরণের বিকল্প নেই : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮
ছবি-ফাইল

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিচার বিভাগকে আধুনিকীকরণের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বিচারকদের উন্নত ও আধুনিক প্রশিক্ষণ দেয়া হলে তারা নিজেরাই বিচার বিভাগের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।

বুধবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ১৩৮তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে জুডিসিয়ারিকে ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে হবে। এজন্য বিচার বিভাগের আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০টি জেলায় নবনির্মিত ভবনে বিচারিক কাজ চলছে। জেলা জজ আদালতগুলো পর্যায়ক্রমে ঊর্ধ্বমুখী সস্প্রসারণ করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, সরকার বিচারকদের বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনছে। পাঁচ শতাধিক বিচারককে অষ্ট্রেলিয়া থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনা হবে। ১৫ জন বিচারকের একটি ব্যাচ জাপান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এসেছেন এবং ক্রমান্বয়ে অন্যান্য বিচারকদেরকেও জাপানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে দেশের আদালতগুলোতে প্রায় ৩০ লাখ মামলা বিচারাধীন আছে। এ মামলার জট কমিয়ে আনা বিচার বিভাগ ও সরকারের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তাই এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। দেওয়ানি কার্যবিধি এবং অর্থঋণ আদালত আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির বিধান অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির সহায়ক আইন করা হয়েছে।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকও বক্তৃতা করেন।

এফএইচ/এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।