গভর্নর, অর্থ সচিব ও যমুনা ব্যাংকের এমডির বিরুদ্ধে রুল
এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে টাকা দিতে আদালতের নির্দেশনা সঠিকভাবে পালন না করায় অর্থ সচিব, গভর্নর, যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে আনা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী ৭ দিনের মধ্যে অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও মহাব্যবস্থাপক, যমুনা ব্যাংকের এমডি ও উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং নওয়াবপুর শাখার ব্যবস্থাপককে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আবেদনকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ী এআইএম হাসানুল মুজিবের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন।
জানা গেছে, আইনজীবী তালেবুর নূর ও এআইএম হাসানুল মজিব নামে দুই ব্যক্তি এক সঙ্গে পেঁয়াজের ব্যবসা করতেন। ২০০৫ সালে পাঁচ বছরের জন্য যমুনা ব্যাংকের নওয়াবপুর শাখায় ৫১ লাখ টাকার একটি মুদারাবা সঞ্চয়ী (এমপিডিআর) হিসাব খোলেন। এ তালেবুর নূরের সঙ্গে এআইএম হাসানুল মুজিব যৌথভাবে ২০০৬ সালে তুরস্ক থেকে দুই হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করেন।
কিন্তু ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় তালেবুর নূর ঋণগ্রস্ত হন। এ কারণে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে তার ওই যমুনা ব্যাংকের ৫১ লাখ টাকার মালিকানা এআইএম হাসানুল মুজিবকে দেন। এরপর ২০১১ সালে এআইএম হাসানুল মুজিব টাকা তুলতে যমুনা ব্যাংকের নওয়াবপুর শাখায় আবেদন করেন। কিন্তু ব্যাংক টাকা দিতে আপত্তি জানায়।
এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল মালিককে হাজির করতে হবে অথবা বিষয়টি যমুনা ব্যাংক নিষ্পত্তি করবে। এরপর টাকার জন্য হাইকোর্টে রিট করেন এআইএম হাসানুল মুজিব। রিট আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে ৩০ দিনের মধ্যে রিট আবেদনকারীকে টাকা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। তবে এ রায় স্থগিত করতে আপিল বিভাগে আবেদন করে যমুনা ব্যাংক। কিন্তু আদালত কোনো স্থগিতাদেশ দেনননি। এ অবস্থায় টাকা চেয়ে যমুনা ব্যাংকের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এআইএম হাসানুল মুজিব। কিন্তু টাকা না দেয়ায় তিনি আদালত অবমাননার আবেদন করেন। এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
এফএইচ/এএইচ/আইআই